আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শেষের পর এক সপ্তাহ পার না হতেই বাংলাদেশের দক্ষিণ আফ্রিকা মিশন। সেখানে বাংলাদেশ তিন ওয়ানডে ও দুই টেস্টের সিরিজ খেলবে। ওয়ানডে সুপার লিগ ও টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ হওয়ায় সিরিজ দুটি মহাগুরুত্বপূর্ণ বাংলাদেশের জন্য।

ইতোমধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের দলও ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। পরের দিন শুক্রবার (৪ মার্চ) বগুড়ায় অবস্থিত বাংলাদেশ টাইগার্সের প্রস্তুতি ক্যাম্প থেকে আসন্ন সফর নিয়ে কথা বলেন টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। তার মতে বছরের শুরুতে নিউ জিল্যান্ডের মাটিতে পাওয়া ঐতিহাসিক জয়ের কারণে প্রোটিয়াদের মাটিতে এবার গুরুত্ব পাবে বাংলাদেশ।

মুমিনুল বলেছেন, ‘এটা (নিউ জিল্যান্ডকে হারানো) অবশ্যই আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে। কারণ একটা বড় দলের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ম্যাচ জেতা বড় ব্যাপার। তবে আমাদের অতীত নিয়েও বেশি ভাবনার প্রয়োজন নেই।’

ওই জয়ে অন্য দলগুলোর কাছে বাংলাদেশ আরো গুরুত্ব পেয়েছে মনে করেন টেস্ট অধিনায়ক, ‘এখন আমাদের দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ নিয়ে ভাবতে হবে। যেহেতু আমাদের নিয়ে মানুষের প্রত্যাশাও বেড়ে গেছে, তাই আমাদের পরবর্তী চ্যালেঞ্জ হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে কেমন করি সেটা গুরুত্বপূর্ণ। অন্য দলগুলো আমাদের আগে যেভাবে দেখত, এখন নিশ্চয়ই সেভাবে দেখবে না। দলগুলো এখন আমাদের আরো গুরুত্ব দেবে। সেদিক থেকে চ্যালেঞ্জও থাকবে।’

বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০টি টেস্ট খেলেছে। সাফল্য বলতে দুই টেস্টে ড্র। ২০১৫ সালে ঘরের মাঠে এই দুই টেস্টে ড্র করে বাংলাদেশ। আর তাদের মাটিতে ৬টি টেস্ট খেলে সবগুলোতেই হারতে হয়েছে। সবশেষ সফর ছিল ২০১৭ সালে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে। সে সময় দুটি টেস্টের একটিতে হারে ইনিংস ব্যবধানে এবং অন্যটিতে ৩৩৩ রানে।

 

এবারের সফর শুরু হবে তিন ওয়ানডে দিয়ে। এক দিনের ম্যাচের সিরিজ শেষে ৩১ মার্চ থেকে শুরু হবে টেস্ট। আর দ্বিতীয়টি ৮ এপ্রিল থেকে। প্রথমটি ডারবানে আর দ্বিতীয় ম্যাচ পোর্ট এলিজাবেথে। বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকার বিমানে উঠবে ১১ ফেব্রুয়ারি।

এই সফরকে কেন্দ্র করে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দলের বাইরে থাকা টেস্ট দলের সদস্যরা বগুড়ায় বাংলাদেশ টাইগার্সের প্রস্তুতি ক্যাম্পে আছেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া এই ক্যাম্প শেষ হবে ৭ মার্চ। এতদিন ধরে ক্যাম্প করে দক্ষিণ আফ্রিকায় ক্রিকেটাররা খুব একটা সুবিধা পাবে বলে মনে করছেন না মুমিনুল।

তিনি বলেন, ‘আমি এখানে ক্যাম্প করেছি তাই দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো করব, এই নিশ্চয়তা দিতে পারব না। আমি প্রক্রিয়াটা ঠিক রাখতে চাই। প্রক্রিয়া ঠিক থাকলে ভালো করতে পারব। বোর্ড আমাদের যে সুযোগটা করে দিয়েছে, সেটা আমাদের জন্য ভালো হবে।’

‘বগুড়ার উইকেট সবসময় ভালো হয়। যেমন চেয়েছিলাম তেমন হয়তো হয়নি। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনের সঙ্গে এখানকার কন্ডিশনের পার্থক্য অনেক। এমন সফরের আগে একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে এটা জরুরি। আমার কাছে মনে হয় এটা আমাদেরকে একটা প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে সাহায্য করেছে। এর চেয়ে বেশি কিছু না।’- যোগ করেন মুমিনুল।